ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ সহোচর

​ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর রয়েল রানার ভেজাল পণ্যের কারবার

আপলোড সময় : ০২-০৭-২০২৫ ০৩:২৪:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০৭-২০২৫ ০৩:২৪:০৪ পূর্বাহ্ন
​ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর রয়েল রানার ভেজাল পণ্যের কারবার বিশিষ্ট ডোনার আনোয়ার হোসেন রানা

বিশেষ প্রতিনিধি
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ সহোচর ও আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট ডোনার আনোয়ার হোসেন রানা ওরফে রয়েল রানা ( ফটকা রানা ও ডেসটিনি রানা হিসেবে পরিচিত) এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পরও পূর্বের ন্যায় এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ডের ব্যানারে দিব্যি প্রতারণা করে যাচ্ছেন।
সূত্র মতে, ভেজাল ও নিম্নমানের ইউনানী ঔষধ ও ফুড সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। ভেজাল ও অনুমোদনের বাইরে ঔষধ উৎপাদনের অভিযোগে তার মালিকানাধীন ইউনিটি ইউনানী ল্যাবরেটরিজ এর লাইসেন্স স্থগিত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সম্প্রতি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পরিচালক(চলতি দায়িত্ব) সফিকুল ইসলাম ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কারখানা পরিদর্শন করিয়েছেন। উপরোক্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কারণে আবার লাইসেন্স ফেরত পেতে যাচ্ছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলীয় ছত্রছায়ায় রয়েল রানা সারা দেশে এম এল এম ব্যবসার নামে প্রতারণার জাল বিস্তার করেন। জনসাধারণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য আওয়ামী লীগ কে নিয়মিত অনুদান দিতেন। কেবল শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সকল অনুষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়েছেন। ফলে প্রতারিত ভূক্তভোগী তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পেতেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন।
এদিকে আওয়ামী সরকার পতনের পরও থেমে নেই রয়েল রানার অপকর্ম। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। এমনকি নিজেকে রক্ষার জন্য বিএনপি নেতা এনি তার আত্মীয় বলে প্রচার করছেন। এমনকি জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তার অফিসে আব্দুর রহিম নামের এক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন কে রেখেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সম্প্রতি এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ডের পাওনাদাররা জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এই সভায় রয়েল রানা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে নারীসহ অনেক বিক্ষোভকারিকে মারাত্মকভাবে আহত করে। তার বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। রহস্যজনক কারণে তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রয়েল রানার মালিকানাধীন ইউনিটি ইউনানী ল্যাবরেটরিজ কর্তৃক অনুমোদন ব্যতীত ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের অভিযোগে কোম্পানীর লাইসেন্স স্থগিত করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। লাইসেন্স স্থগিত করার পরও গোপনে ঔষধ উৎপাদন ও বিপণন করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, রয়েল রানা এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ডের ব্যানারে সরকারের অনুমোদন ছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের ফুড সাপ্লিমেন্ট ও প্রসাধনী আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন করছেন। যাতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ডের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, রয়েল রানার ব্যবসা আপাদ মস্তক প্রতারণাপূর্ণ। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের ফুড সাপ্লিমেন্ট ও প্রসাধনী আমদানি, উৎপাদন করে চড়া মূল্যে বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে ঠুনকো কারণে চাকুরিচ্যুত করা তার রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তিনি সহ অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন পাওনা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জনস্বার্থে এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ডের ভেজাল ও নিম্নমানের ফুড সাপ্লিমেন্ট ও প্রসাধনী আমদানি, উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর রয়েল রানাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীগণ।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য রয়েল রানার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ